WhatsApp কী?
WhatsApp হলো একটি মোবাইল ও
ওয়েব-ভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে
একে অপরকে
টেক্সট মেসেজ, ভয়েস কল, ভিডিও কল, ছবি, অডিও ও ফাইল পাঠাতে
পারে। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি এবং ব্যবহার করা খুবই সহজ।
এই অ্যাপটি ২০০৯ সালে তৈরি হয় এবং ২০১৪ সালে Facebook (বর্তমানে Meta) এটি
অধিগ্রহণ করে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ২ বিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী
রয়েছে।বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি হয়ে উঠেছে ব্যবসা,
মার্কেটিং এবং আয় করার একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম।
সঠিকভাবে ব্যবহার করলে হোয়াটসঅ্যাপ থেকেও আয় করা সম্ভব। বর্তমানে অন লাইন
ভিত্তিক ব্যবসা প্রচার বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে মানুষ লক্ষাধিক টাকা আয়
করছে।আপনি কেন ঘরে বসে থাকবেন।এখনই শুরু করুন।আজকে আমরা জানবো কিভাবে
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে ৭টি কার্যকর ও বাস্তবসম্মত উপায়ে ইনকাম করা যায়।
সূচিপত্র
১. প্রোডাক্ট বিক্রয় (Product Selling)
হোয়াটসঅ্যাপে আপনি আপনার নিজস্ব পণ্য যেমন পোশাক, কসমেটিক্স, হ্যান্ডক্র্যাফটস,
খাবার ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন। নিজের কনট্যাক্ট লিস্ট, গ্রুপ এবং
স্ট্যাটাসের মাধ্যমে প্রোডাক্টের ছবি ও দাম শেয়ার করলে ক্রেতারা সহজেই অর্ডার
দিতে পারেন। WhatsApp Business অ্যাপ ব্যবহার করে ক্যাটালগ তৈরি করলে আরও
পেশাদারভাবে বিক্রি করা সম্ভব।
২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট যেমন Amazon, Daraz, কিংবা ClickBank-এর অ্যাফিলিয়েট
লিংক হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করে আয় করা যায়। আপনি যদি রিভিউসহ আকর্ষণীয়ভাবে লিংক
শেয়ার করেন, তবে কেউ সেই লিংকের মাধ্যমে পণ্য কিনলে আপনি কমিশন পাবেন তবে
আপনাকে আবশ্যই অ্যাফিলিয়েট মার্কটিং সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। কি ভয় লাগছে?
চিন্তার কোন কারণ নাই এসংক্রান্ত অনেক ভিডিও ইউটিউবে পেয়ে যাবেন।
৩. সার্ভিস মার্কেটিং (Freelance Services)
আপনার যদি গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, অনুবাদ, ওয়েব ডিজাইন, বা সোশ্যাল
মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের মতো দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি whatsapp এর মাধ্যমে
ক্লায়েন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সার্ভিস অফার করতে পারেন। নিজের নম্বর প্রচার
করে বা ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার গ্রহণ করতে
পারেন।
৫. ডিজিটাল পণ্যের বিক্রয় (E-books, Courses)
যারা ই-বুক লেখেন বা অনলাইন কোর্স তৈরি করেন, তারা whatsapp এর মাধ্যমে
সেগুলো প্রমোট ও বিক্রি করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি একটি “English
Spoken Course” তৈরি করেন, তাহলে হোয়াটসঅ্যাপে তা বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি
করতে পারেন। পেমেন্ট নেওয়ার জন্য বিকাশ/নগদ ব্যবহার করতে পারেন।
৬. গ্রুপ মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপন দেওয়া
নিজের বা অন্যের ব্যবসার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ তৈরি করে প্রোডাক্টের
বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। পাশাপাশি বিভিন্ন পেইড গ্রুপে মার্কেটিং করতে পারেন।
যদি আপনার গ্রুপে অনেক সক্রিয় মেম্বার থাকে, তবে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা সেই
গ্রুপে বিজ্ঞাপন দিতে অর্থ দিতে আগ্রহী হবেন।
৭. ইভেন্ট বা সেমিনার প্রমোশন
আপনি যদি কোনো অনলাইন ইভেন্ট, ওয়ার্কশপ বা সেমিনারের আয়োজন করেন, তাহলে
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই প্রচার করতে পারেন। আগ্রহীদের থেকে
রেজিস্ট্রেশন ফি নিতে পারেন এবং হোয়াটসঅ্যাপে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য, লিংক ও
গাইডলাইন দিতে পারেন।
হোয়াটসঅ্যাপ একটি সহজ, দ্রুত এবং কার্যকর মাধ্যম যার মাধ্যমে যে কেউ ঘরে বসেই
আয় করতে পারে। তবে সাফল্যের জন্য দরকার ধৈর্য, নিয়মিত প্রচার, এবং পেশাদার
ব্যবহার। আপনিও চাইলে আজ থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে নিজের আয় শুরু করতে
পারেন।
স্মার্ট ইনফো ডেস্কের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টের রিভিউ করা হয়। নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url