১০,০০০ টাকায় ১১ টি ক্ষুদ্র ব্যবসার শক্তিশালী আইডিয়া
ভূমিকাঃ
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে যুব সমাজে নিজের ব্যবসা শুরু করার আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
চাকরির সীমাবদ্ধতা, মুদ্রাস্ফীতি ও আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য মেনে চলা—এসব কারণ
মানুষকে স্বনির্ভর হতে ও স্বাধীনভাবে আয় করার পথ খুঁজতে উৎসাহিত করছে । এর
পাশাপাশি প্রযুক্তির প্রসার ও ই-কমার্স বৃদ্ধির ফলে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম,
সোশ্যাল মিডিয়া ও ফেসবুক ভিত্তিক ব্যবসায় এখন শুরু করতে সময় ও বড় পুঁজির
প্রয়োজন নেই ।
বাংলাদেশে ২০২৫ সালের দিকে ই‑কমার্সের বাজার $৬.৫ বিলিয়ন USD-এর মতো বড় হবে, আর
এটির প্রবৃদ্ধি প্রতি বছর প্রায় ১৭% । এর ফলে, ঘরে বসে সামান্য খরচে শুরু করে
লাভজনক ব্যবসা শুরু করার সুযোগ আনতে পারে। যদিও অনেকেই প্রথমে মনে করেন ছোট
পুঁজির ক্ষুদ্র ব্যবসা হলে উপার্জন সীমিত হয় ।তবে সঠিক পরিকল্পনা ও
প্রাথমিকভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসা যেমন টিফিন সেবা, হস্তশিল্প, অনলাইন টিউটরিং
ইত্যাদি—দ্রুত জনপ্রিয়তা ধরে নিতে পারে।
এই ব্লগে আমরা ১১টি এমন উদ্ভাবনী, প্র্যাকটিক্যাল ও লাভজনক ক্ষুদ্র ব্যবসার
আইডিয়া তুলে ধরব, যেগুলো খুবই অল্প বিনিয়োগে শুরু করে টেকসই আয়, দ্রুত নগদ
প্রবাহ, এবং ভবিষ্যতে বড় পরিসরে বিস্তারের সুযোগ তৈরি করতে সক্ষম। আপনি
নির্দিষ্ট দক্ষতা বা আগ্রহের ওপর ভিত্তি করে কয়টি আইডিয়া বেছে নিয়ে বিনিয়োগ
শুরু করতে পারেন — ১০ হাজার টাকায় আপনার এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ যাত্রা আজই শুরু
হতে পারে।
সূচিপত্র
১. টিফিন সেবা
মাত্র আট-দশ হাজার টাকায় শুরু করা যায় টিফিন সেবা ব্যবসা। বিশেষত অফিস-স্কুল
এলাকার গ্রাহকদের জন্য আপনার বাড়ী থেকে রান্না করা খাবার পৌঁছে দিয়ে এই ক্ষুদ্র
ব্যবসা থেকে ভাল পরিমান অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তবে একটা কথা মনে
রাখবেন আপনার ব্যবসায়িক সুনাম রক্ষার্থে আপনার রান্না মানসম্মত এবং সুস্বাদু হতে
হবে।
২. আচারের ব্যবসা
আমের বিভিন্ন পদের টক, মিষ্টি ,ঝাল আচার ।জলপাই, বড়ই,আমলকি,রসুন, চালতা ,গরুর
মাংসের আচার ইত্যাদি নানা পদের আচারের ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসায় কম খরচে
উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ আয় করা যায়।
এক্ষেত্রে আপনি ফেইসবুক ইনস্টাগ্রাম ইউটিউব এর মাধ্যমে আপনার আচারের বিজ্ঞাপন
দিয়ে অনলাইনে আপনার বাড়ীতে তৈরীকৃত আচার নগদ এবং বিকাশ পেমেন্ট এর মাধ্যমে
বিক্রি করতে পারেন।আচার কিভাবে তৈরি করবেন এর রেসিপি জানতে আপনি ইউটিউবের
সহযোগিতা নিতে পারেন।
৩. হস্তশিল্প (Handicraft)
বাংলাদেশের হস্ত ও কুটির শিল্প খুবই সমৃদ্ধ। নকশীকাঁথা,শীতলপাটি, শীতরন্জি,
জামদানী, পাটের তৈরি বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী, বাঁশ বেত কাসা পিতল মৃৎ শিল্প।
বর্তমান সময়ে এই শিল্পের পর্যাপ্ত চাহিদা থাকায় এটি একটি সম্ভাবনাময়ী ক্ষুদ্র
ব্যবসা হতে পারে।
এক্ষেত্রেও আপনি ফেইসবুক ইনস্টাগ্রাম ইউটিউব এর মাধ্যমে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন
দিয়ে আপনার বাড়ীতে তৈরীকৃত অথবা পাইকারীদামে ক্রয়কৃত পন্য অনলাইনে
নগদ এবং বিকাশ পেমেন্ট এর মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন।
৪. অনলাইন গিফট শপ
এটিও খুব সম্ভাবনাময়ী স্বল্প পুঁজির একটি লাভজনক ক্ষুদ্র ব্যবসা হতে চলেছে।
তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। বিষয়গুলো মনোযোগ দিয়ে
অনুধাবন করুন।মাত্র ১০০০–২০০০ টাকাতেই শুরু করা যায়।
প্রথমে কিছু স্যাম্পল প্রোডাক্ট তৈরি (যেমন শো-পিস বা গিফট বক্স) করে
ফেসবুক/ইনস্টাগ্রামে প্রদর্শন করুন।নির্দিষ্ট থিম বা উৎসবভিত্তিক পণ্য বেছে নিন,
যেমন জন্মদিন, মাতৃদিবস ,পহেলা বৈশাখ, বিশ্ব ভালবাসা দিবস, বিবাহ বার্ষিকী।
ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে অর্থাৎ ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রি শুরু করুন কারণ এতে নিবন্ধন সহজ কম খরচে মার্কেটে পৌঁছে যায়।লোকাল গ্রুপ ও মার্কেটপ্লেসে নিয়মিত পণ্য পোস্ট করুন।রিল ও শর্ট ভিডিও দিয়ে ভাইরাল প্রচারণা চালান ।
দ্রুত ও বিশ্বাসযোগ্য ডেলিভারি বজায় রাখুন যা পোস্ট অফিস ,Pathao Courier, eCourier, RedX ইত্যাদি সংস্থার মাধ্যমে শুরু করা যেতে পারে।গ্রাহকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন; রিভিউ ও ভিডিও টেস্টিমোনিয়াল সংগ্রহ করুন ।
৫. ব্লগিং বা কন্টেন্ট রাইটিং
ওয়েবসাইট তৈরি করে নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর ব্লগিং শুরু করুন, আয় হতে পারে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও অ্যাডস থেকে । তবে এজন্য আপনাকে ব্লগিং বা কন্টেন রাইটিং
এর উপরে উপযুক্ত আইটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে ।
ইউটিউব ভিডিও দেখেও আপনার দক্ষতা বাড়াতে পারেন ।তবে ডোমেন ক্রয় এবং প্রশিক্ষণ
বাবদ আপনাকে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ করতে হতে পারে।এ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে
আপনি মাসে লাখ টাকা এনকাম করতে পারবেন।
৬. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সেবা
ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম পেজ পরিচালনা করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য মার্কেটিং
করা যায়; বিনিয়োগ খুব কম। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সেবা হচ্ছে একটি পেশাদার
সেবা যেখানে আপনি কোন ব্র্যান্ডের জন্য কনটেন্ট তৈরি করে, পোষ্ট সময়মতো শিডিউল
করে, ফলোয়ারদের সঙ্গে সংলাপ রক্ষা করে এবং ফলাফল পর্যবেক্ষণ করে দেবেন ।এর মাঝে
থাকে কনটেন্ট ক্যালেন্ডার তৈরি, পোস্ট তৈরিতে টেক্সট, ছবি, ভিডিও,মন্তব্য ও মেসেজের দ্রুত রিপ্লাই । বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইন চালানো।
অনলাইন টিউটরিং হলো এমন একটি শিক্ষাদান পদ্ধতি যেখানে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী
দেহীস্থান থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত হয় এবং ভিডিও কল, লাইভ চ্যাট,
স্ক্রিন শেয়ার, ইন্টারঅ্যাকটিভ হোয়াইটবোর্ড ইত্যাদি উপকরণ ব্যবহার করে বিষয়
শেখানো হয়। প্ল্যাটফর্ম বা টুলস হিসেবে নিচের টুলসগুলো ব্যবহার করা যায়।
- ভিডিও কল টুল: Zoom, Google Meet, Skype—স্ক্রিন শেয়ার, রেকর্ডিং সুবিধা থাকে
- ইন্টারেক্টিভ টুল: Google Docs, Miro (অনলাইন হোয়াইটবোর্ড), Trello—সহযোগিতামূলক কাজের জন্য ব্যবহার করা যায়।
অনলাইন টিউটরিং এর সাফল্য মূলত কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
১.সঠিক প্ল্যাটফর্ম ও টুলস;
২.পরিকল্পিতকে কাস্টম ম্যাপ;
৩.ইন্টারেক্টিভ ও মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতি;
৪.নিয়মিত মূল্যায়ন ও ফিডব্যাক;
৫.পেশাদার পরিবেশ ও টেকনিক্যাল প্রস্তুতি;
৬.সম্পর্ক গঠন ও এমোশনাল সাপোর্ট
৮. মোবাইল/ল্যাপটপ রিসার্ভিস
এটি হলো এমন একটি সেবা যেখানে মোবাইল ও ল্যাপটপের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সমস্যা
ঠিক করে দেওয়া হয়। যেমন: ব্যাটারি-ডিসপ্লে-চার্জিং পোর্ট বদল, OS/driver
ট্রাবলশুটিং, ডাটা রিকভারি, ভাইরাস রিমুভ, মাদারবোর্ড সার্ভিস—ইত্যাদি।কাজের জন্য
যা প্রয়োজন
১.দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ: একটি প্রতিষ্ঠান বা মোটেই কাজ চালিয়ে নিজের দক্ষতা
অর্জন করুন—বিশেষভাবে সফটওয়্যার + হার্ডওয়্যার ।
২.টুলস ও যন্ত্রাদি: স্ক্রুড্রাইভার সেট, সোল্ডারিং রি-ওয়ার্ক স্টেশন, ডিসপ্লে/ব্যাটারি টেস্টার,
PCB holder, LCD tester ইত্যাদি লাগবে।
৩.স্পেয়ার পার্টস: সাধারণ মডেলের স্ক্রিন, ব্যাটারি, চার্জার, ক্যাবল রক্ষা মতো যন্ত্রাংশ রাখুন।
প্রয়োজনে ওই জায়গায় ডেলিভারির সু্যোগ রাখুন।
৪.স্থান বা ওয়ার্কস্পেস:- ঘর থেকে শুরু করতে পারেন, বা ১০০ sq ft দোকান ভাড়া নিতে পারেন।
- চেনে ও লোকে সহজে খুঁজে পাবার মত লোকেশন বেছে নেয়া উচিত
৯. মোবাইল রিচার্জ ও SIM বিক্রি
মোবাইল রিচার্জ (Flexiload): গ্রাহকের মোবাইলে বা DTH-তে বল্ড/ডেটা
রিচার্জ করে কমিশন উপার্জন করা। প্রতি রিচার্জে ১‑৫% কমিশন পাওয়া যায়, যা মাসে
২০,০০০‑২৫,০০০ টাকার উপার্জনের সুযোগ তৈরি করে।এই ক্ষুদ্র ব্যবসাটি থেকে একাট
উল্লেখযোগ্য পরিমান আয় করা যায়।
SIM বিক্রি ও এক্টিভেশন:গ্রাহকের জন্য নতুন SIM কিনে দেওয়া, রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাক্টিভেশন করে দেওয়া
হয়—এতে কমিশন বা পেমেন্ট পাওয়া যায়।
শুরুর জন্য যা প্রয়োজন
১.ট্রেড লাইসেন্স:স্থানীয় ইউনিয়নের মাধ্যমে প্রাপ্তির প্রক্রিয়া (~
৳৫০০–১,০০০) ।
২.স্থান নির্ধারণ:এমন স্থানে লোড দিন যেখানেই মানুষ থাকে—পাড়ায় খোলা দোকান, হাসপাতাল, মোটোর
গাড়ি স্ট্যান্ড, বাজারের আশেপাশে।
৩.যন্ত্রপাতি:ক) ইন্টারনেট-ভিত্তিক রিচার্জ জন্য অ্যাপ/ওয়েব লাগে (পিসি বা স্মার্টফোনই যথেষ্ট।
খ) SIM বিক্রির জন্য প্রায় বাজার থেকে তুলনামূলক গুরুত্বপূর্ণ ধরণ
প্রয়োজন; বাল্ক SIM কিনতে ডিস্ট্রিবিউটারদের সাথে যোগাযোগ করুন ।এই ব্যবসায় দৈনিক
৳৫,০০০–২০,০০০ লেনদেন হলে, মাসে ৩০–৬০ হাজার টাকার মত লাভ হতে পারে।
১০.বই বা পুরাতন বই বিক্রি
সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারলে অনলাইনে পুরাতন বই বিক্রি করে একটি ভালো পরিমাণ
অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে নিম্নের পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করা যায়।
১.বই পরিষ্কার করে নিন । মুখের ধুলো মুছে ফেলুন, হালকা দাগ মুছুন, ওয়াটার
ড্যামেজ বা পাতা ফাটল থাকলে তা উল্লেখ করুন ।
২.উচ্চমানের ছবি তুলুন । প্রাকৃতিক আলো, নিরপেক্ষ ব্যাকগ্রাউন্ড, কভার-স্পাইন,
এবং ক্ষতির জায়গার ক্লোজ-আপ অন্তর্ভুক্ত করুন ।
৩.লেখক সংস্করণ প্রকাশকাল ISBN পত্রগুলোর অবস্থা সম্পর্কে বর্ণনা দিন।
৪.অবস্থা ও প্ল্যাটফর্ম ফি বিবেচনা করে ২০–৫০% ডিসকাউন্টে মূল্য নির্ধারণ করুন।
৫.বাংলাদেশে জনপ্রিয় Bikroy.com (যেখানে নির্দিষ্ট “Books” বিভাগ আছে) Reading
app, TuitionAppBD, Take.app, Booktionary, BooksFactory বিজ্ঞাপন দিন।
৬. বিকাশ ,নগদ, অথবা cash on delivery মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহন করুন।
১১. ক্লাউড কিচেন বা ফটকা (Instant) ফুড১২
Cloud Kitchen” বা স্পর্শকাতরভাবে
“Ghost Kitchen”–এর মডেল হলো
ফিজিক্যাল ডাইন-ইন ছাড়াই শুধুমাত্র ডেলিভারির মাধ্যমে খাবার বিক্রি করা। এতে কোনো
রেস্টুরেন্ট শো-রুম দরকার হয় না, সব কার্যক্রম পরিচালিত হয় কিচেন থেকে সরাসরি
বাড়িতে ডেলিভারি করেই—এটি “ফটকা” বা ইনস্ট্যান্ট ফুড হিসেবে পরিচিত হতে পারে।
কম বিনিয়োগ
(~১–২ লাখ টাকার মধ্যে চালু যায় বাংলাদেশে।ভাড়া না দিয়ে
ফিজিক্যাল লোকেশন ছাড়াই শুরু
করতে পারেন।জনপ্রিয় ডেলিভারি এলাকা: বাসা, কলেজ এলাকার কাছে অবস্থান নিলে
ব্যবসার জন্য সুবিধাজনক হবে।কী ধরনের “ইনস্ট্যান্ট ফুড” চান গ্রাহক: যেমন ফ্রোজেন
স্ন্যাক, রিলে-আপার-ডিম, নুডলস, ফাস্ট ফুড বিষয়গুলোতে গুরত্ব দিতে হবে।
এরজন্য বেশী জায়গার প্রয়োজন নাই।ছোট জায়গায়: ৩০০–৬০০ sq.ft. এলাকা
যথেষ্ট।রান্নাঘর + প্রস্তুত + প্যাকিং + ডিসপ্যাচ জোন পরিকল্পনা করুন।বাংলাদেশে
ফুড ট্রেড লাইসেন্স, স্বাস্থ্য
বিভাগ & জরুরি প্রয়োজন FSSAI জাতীয় সমতুল্য খাদ্য লাইসেন্স করুন।
প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের মধ্যে: কমার্শিয়াল স্টোভ, ফ্রিজ, প্যাকিং টেবিল, প্যাকেজিং
বাক্সস, পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন সিস্টেম রাখুন।POS ও KDS: অর্ডার ম্যানেজমেন্ট, ইন্টিগ্রেশন, প্রস্তুতি ট্যাবলেট —সময় ও ত্রুটি
কমায়।ইনস্ট্যান্ট ফুড মেনু এমন হওয়া দরকার যা
পৌরসভার বাইরে পাঠানো-আপেক্ষিক ভালো থাকে।
মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং এর ক্ষেত্রে ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম; ভিডিও, রিভিউ,
ফ্লায়ারিং,Whatsapp গ্রুপ, পোষ্টার, মাইক্রো-ফ্লায়ার অ্যাপ গুলোর ব্যবহার
করা যেতে পারে।
ডেলিভারি চ্যানেল ও লজিস্টিক সাপোর্ট এর জন্য ফুডপান্ডা–এর
মতো ৩rd-party: শুরুতে সুবিধাজনক, তবে কমিশন দিতে হবে। পরবর্তীতে নিজস্ব ডেলিভারি
টিম গটন করে খরচ কসাতে হবে।
শেষ কথা
১০,০০০ টাকা যা অনেকেই ছোট খরচ মনে করেন—তবে এই অর্থ যদি সঠিক পরিকল্পনা, সময় ও
শ্রমের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়, তবে এটি হতে পারে একটি সোনার বিনিয়োগের প্রথম
ধাপ।এখানে অবশ্য ক্লাউড কিচেনে খরচ টা একটু বেশী হবে এক লক্ষ টাকা ,যাদের এ
পরিমান বিনিয়োগের সামর্থ্য নাই তারা বিকল্প চিন্তা করতে পারেন। তবে নিজের DREAM,
DILIGENCE, আর DEMAND‑এ ফোকাস করুন আর তখনই আপনার এই ক্ষুদ্র ব্যবসা তৈরি হবে
একটি সফল, টেকসই এবং সম্ভাবনাময় উদ্যোগ হিসেবে।
স্মার্ট ইনফো ডেস্কের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টের রিভিউ করা হয়। নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url