গরমে শরীর সুস্থ রাখতে খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়

ভূমিকা

গরমের তীব্রতা আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। এই সময় শারীরিক সমস্যা, খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন পদ্ধতি গরমের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে।




সূচিপত্র

গরমে সম্ভাব্য শারীরিক সমস্যা

গরমের কারণে শরীরে যে সমস্যাগুলো হতে পারে তা হলোঃ

  • হিটস্ট্রোক ও হিট এক্সহস্টশনঃ অতিরিক্ত তাপমাত্রায় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

  • ডিহাইড্রেশনঃ ঘামের মাধ্যমে শরীরের জলীয় অংশ হারিয়ে যাওয়ার ফলে পানিশূন্যতা হতে পারে।।এতে করে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

  • হজমের সমস্যাঃ গরমে হজমশক্তি কমে গিয়ে অ্যাসিডিটি, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি হতে পারে।অতিরিক্ত এসিডিটির কারণে  Heart Attack হতে পারে।

  • ত্বকের সমস্যাঃ ঘামের কারণে ত্বকে র‍্যাশ, ব্রণ বা চুলকানি হতে পারে।

  • শরীরের দুর্বলতা ও ক্লান্তিঃ অতিরিক্ত গরমে শরীরের শক্তি কমে গিয়ে ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়

গরমে সুস্থ থাকতে নিচের বিষয়গুলো মেনে চলা উচিত:

  • প্রচুর পানি পান করুন: দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

  • হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খান: তেলে ভাজা ও ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন।

  • বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন: ফাস্টফুড ও অস্বাস্থ্যকর খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

  • রাতে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন: রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়।

  • শরীরের যত্ন নিন: নিয়মিত গোসল করুন, ত্বক পরিষ্কার রাখুন এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

গরমে খাওয়া উপযোগী খাদ্যসমূহ

১. দই
দইয়ে প্রোবায়োটিক, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে যা পেটের স্বাস্থ্য ও ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে সাহায্য করে। তবে, ঠান্ডা দই এড়িয়ে ঘরের তাপমাত্রার টক দই খাওয়া উচিত। মিষ্টি দই না খাওয়াই ভাল।
২. শসা ও তালের শাঁস
শসা ও তালের শাঁস শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হাইড্রেটেড রাখে।
৩. কাঁঠাল
কাঁঠালে ফ্ল্যাভোনয়েডস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বকের জন্য উপকারী। তবে, ডায়াবেটিস রোগীরা কম পরিমাণে খাওয়া উচিত।
৪. আনারস আনারসে ব্রোমেলিন উৎসেচক থাকে যা হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাস, অ্যাসিডিটি কমাতে সহায়ক।
৫. লিচু
লিচুতে ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম থাকে যা হৃদযন্ত্রের ক্ষতি রোধ ও হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। তবে, ডায়াবেটিস রোগীরা সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

গরমে এড়িয়ে চলা খাবারসমূহ

  • ফাস্টফুড ও প্রসেসড ফুডঃ অতিরিক্ত তেলে ভাজা ও ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • সুগারি ড্রিংকস ও আইসক্রিমঃ অতিরিক্ত চিনি ও কোল্ড ড্রিংক শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

  • মদ, সিগারেট ও গুটখাঃ নেশাজাতীয় জিনিস একেবারে এড়িয়ে চলা উচিত।

উপসংহার

গরমে সুস্থ থাকতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পানি পান ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। এই সময় সচেতনতা ও সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে গরমের প্রভাব থেকে সুস্থ থাকা সম্ভব।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্মার্ট ইনফো ডেস্কের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টের রিভিউ করা হয়। নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url