ভূমিকা
বাংলাদেশে ভূগর্ভস্থ পানি বিশেষ করে টিউবওয়েল ও ডিপ টিউবওয়েল থেকে নেওয়া পানির
উপরে আমাদের নির্ভরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কৃষি, গার্মেন্টস শিল্প, গৃহস্থালি
প্রভৃতি ক্ষেত্রে এই পানির ভূমিকা অপরিসীম। তবে একদিকে যেমন এটি সমৃদ্ধির পথ
খুলেছে, অন্যদিকে এর অতিব্যবহার ও দূষণ স্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও পরিবেশে
দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলছে।বাংলাদেশ, যা একটি নদীমুখী দেশ হিসেবে পরিচিত, তার
অদৃশ্য পানি ভূগর্ভস্থ পানি আমাদের প্রত্যেকের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
এটি সেচ, গৃহস্থালি, শিল্প ও বাস্তুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। প্রকৃতপক্ষে,
বাংলাদেশে সেচযোগ্য জনপ্রয় পানি খাবার, রান্না, ধোয়া, গোসল সহ নানা কাজ প্রায়
৬০‑৭০ % এই ভূগর্ভস্থ পানি থেকেই আসে । ঢাকা শহরের মতো নগরীতেও এটি পানি সরবরাহের
৮৭ % নির্ভরযোগ্য উৎস ।
তবে এই "অদৃশ্য সম্পদ" অত্যাধিক ও অব্যবস্থাপিত ব্যবহারে ভয়াবহ সংকটে তৈরি
হয়েছে। ঢাকার মতো শহরে এটি প্রতি বছর ১–১.৫ মিটার হারে নিচে নামছে; ২০২৩‑এ এটি
প্রায় ৭৫ মিটার নিচে নেমে গিয়েছিলো ।
সূচিপত্রঃ
ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব
১. পানি স্তরের দ্রুত নিচে নামছে
ঢাকাসহ বড় শহর ও বরেন্দ্র অঞ্চলগুলোতে টিউবওয়েল খননের ফলে ভূগর্ভস্থ পানি স্তর
অগ্রাহ্যযোগ্যভাবে নিচে নামছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন পর্যবেক্ষণে মৃত্তিকা স্তর
প্রতি বছর গড়ে ১.০–৩.০ মি হারে নিচে নামছে। ১৯৬০ সালে ঢাকা ওয়াসার (DWASA) কাছে
মাত্র ~৩০টি ডিপ টিউবওয়েল ছিল। কিন্তু ২০১৮ সালের মধ্যে তা বেড়ে দাড়িঁয়েছে
প্রায় ৯০৯টি।
শহরের দ্রুত বৃদ্ধি, শিল্পায়ন ও কৃষিনির্ভর সম্প্রসারণ ভূগর্ভস্থ পানির
পাম্পিংকে ত্বরান্বিত করেছে, যার ফলে প্রতিদিনের ডিমান্ড স্তর পাম্পের গতিকে
বাড়িয়ে তুলেছে ।শুরুর দিকে ভূগর্ভ থেকে প্রায় ৬০ মিটার নিচে পানি পাওয়া যেত, আর
২০১৯‑এ সেই খনন গভীরতা দাঁড়িয়েছে ~৩৭৫ মিটার ।
২. ল্যান্ড সাবসাইডেন্স (ভূমির নিম্নমুখী হওয়া)
বাংলাদেশের ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলে প্রতি বছর ভূমি ৬ মিমি পর্যন্ত নিচে নামছে ।এর
ফলে বিল, রাস্তা, ভবন ও অবকাঠামোর ওপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বন্যারও ঝুঁকি বেড়ে
গেছে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের GPS–পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, শহরের কিছু অংশে বছরে
১২–১৪ মিমি (১.২–১.৪ সেমি) হারেও অবনয়ন হচ্ছে।
৩. জলাধার ও প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রের বিকৃতি
অতিমাত্রায় টিউবওয়েলের পাম্পিং নদী ও খাল পর্যায় থেকে পানি নিঃসরণ কমিয়ে দেয় ফলে
ঐ বাস্তুতন্ত্রের স্বাভাবিক অবস্থা লঙ্ঘিতহয়। ভূমি নিম্নগামী হলে, সেই এলাকার ঢাল
কমে যায়। নদীর স্বাভাবিক বাঁক ও ঢাল ভেঙ্গে যায়। যার ফলে পানি ধীরে ধীরে মিশে ও
জমে যায় এবং প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে যা ফসলের জন্য ক্ষতিকর।
৪. লবণাক্ত পানি প্রবেশের ভয়াবহতা
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উপরে ওঠা লবণ পুরো উপকূলীয় অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানিতে ছড়িয়ে পড়ছে।
কিছু এলাকায় লবণমাত্রা প্রায় ৪০ ppt পৌঁছেছে। এবং এতে করে কৃষিজ মাটি লবণাক্ত
হওয়ায় মাটির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে।
৫. দূষণ ও বিষক্রিয়ার প্রকোপ
ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক রয়েছে, যা ৩৫–৭৭ মিলিয়ন মানুষের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি
তৈরি করেছে।শিল্প, কৃষি, স্যানিটেশন দূষণ মিশে টিউবওয়েলের পানি দূষিত করছে, E.
coli সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে, বিশেষ করে শহরে।
৬. সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়া
-
টিউবওয়েল আবিষ্কার ও পানির গভীরতা বৃদ্ধি হওয়ার ফলে খননের খরচ ও বৈদ্যুতিক
খরচ বেড়েই চলেছে।
-
পানি ঘাটতি, লবণাক্ততা, দুর্যোগের কারণে শস্য উৎপাদন কমে যায়, যা সমগ্র কৃষি
ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলে।
-
মহিলারা পানি সংগ্রহে দীর্ঘ সময় ব্যয় করছেন, যা জীবনের মান ও নারী ক্ষমতায়নে
বাধা সৃষ্টি করছে।
বিকল্প পদ্ধতি ও টেকসই ব্যবহারের উপায়
১.আল্টারনেট ওয়েটিং অ্যান্ড ড্রাইং (AWD) প্রযুক্তি
আধুনিক ট্র্যাক্টর ও কৃষিযন্ত্রে অটোমেটেড সিস্টেম বা শক্তি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি থাকতে পারে যাতে শক্তি সাশ্রয় ও কার্যক্ষমতা বাড়াতে AWD এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়। এতে ট্র্যাক্টর ও কৃষিযন্ত্রের অপারেশন দক্ষতা বাড়ে জ্বালানি খরচ কমে । এ ধরণের প্রযুক্তি কৃষি ও জল ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করা হলে পানির অপচয় সহজে কমানো সম্ভব। আবার আকরিক ও আবহাওয়া তথ্য সংগ্রহ করে AI ভিত্তিক মডেল বিশ্লেষণ করে নির্দিষ্ট সময় ও পরিমানে পানি দেওয়ার পরামর্শ পাওয়া যায়। যেমন শুস্ক সময় বা বৃষ্টির পূর্বাভাস এর ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয় সময়সূচী তৈরি করা যায় যা বহুলাংশে পানির অপচয় রোধ করে।
২. বায়রা বা ঢাকা/বাইরা (Floating gardening)
বর্ষাকালীন সময়ে ডুবে যায় এমন অঞ্চলে পানির উপর ভাসমান বাগান তৈরি করে শস্য
উৎপাদন করা হয়। জলজ উদ্ভিদের উপরের স্তর সেচ রূপে কাজে লাগে, চাষ ও পুষ্টিতে
উপকার করে।বাইরা বা ধাপ (floating gardening) হল বাংলাদেশের জলাবদ্ধ এলাকায়
প্রচলিত একটি প্রাচীন ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপদ্ধতি। এটি মূলত পানি-হায়াসিন্থ, বাঁশ
ও জৈব পদার্থ দিয়ে তৈরি ভাসমান বিছানা, যার ওপর গাছের বীজ বা চারা রোপণ করা হয়।
ফসল যেমন পটল, পুদিনা, পাকুড়া, বেগুন এবং সবুজ সব্জি এই উপায়ে চাষ হয় । এই
পদ্ধতি বার্ষিক বন্যার সময়ও চালু থাকে, কারণ বিছানাগুলো পানি ওঠা-নামার সাথে
ইলাস্টিকভাবে ভাসতে পারে ।
ফসল উৎপাদন জমিতে চাষের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ অধিক ফলনক্ষম এবং রাসায়নিক সার ও
কীটনাশক প্রয়োগ না করেই হাইড্রোপোনিক পদ্ধতিতে সম্পাদিত হয় । এর ফলে জমিহীন ও
গরিব কৃষকদের খাদ্যের যোগান ও আয় বৃদ্ধি পায় ।এছাড়া পানির অপচয় হ্রাস পায়।
৩. রাইস-ফিশ সিস্টেম
রাইস‑ফিশ সিস্টেম (Integrated Rice–Fish Farming) হলো একই জমিতে ধান ও মাছ একত্রে
চাষের একটি টেকসই পদ্ধতি। ধানের পাশাপাশি মাছ পালন করে হতে পারে দ্বৈত লাভ যা
আয়ের ৫০% পর্যন্ত বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়ক ।রাসায়নিক সেচ কমিয়ে দেয় এবং
পুষ্টিতে সমৃদ্ধতা আসে। মাছের বিষ্ঠা মাটিতে উর্বরতা আনতে সাহায্য করে, পাশাপাশি কীটপতঙ্গ
ও শিকারি বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
৪. ইন্টিগ্রেটেড ফ্লোটিং কেজ অ্যাকুয়াজিওপোনিক্স (IFCAS)
ইন্টিগ্রেটেড ফ্লোটিং কেজ অ্যাকুয়াজিওপোনিক্স (IFCAS) হল মাছ ও সবজির সমন্বিত
চাষের একটি উদ্ভাবনী পদ্ধতি, যা বাংলাদেশের ছায়াযুক্ত পুকুরে ২০১৩ সালে প্রথম
প্রয়োগ শুরু হয়। এখানে মাছের বর্জ্য এবং অব্যবহৃত খাবার পানি ও কাদার মাধ্যমে
তরিত সবজি চাষ করা হয়, যা পুষ্টি ও আয়ের উৎস বৃদ্ধি করে।এই পদ্ধতি গ্রীষ্ম ও শীত
উভয় সময়েই কার্যকর এবং রাসায়নিক সার এবং সেচ হ্রাস করে।
৫. বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও শহরে রিচার্জ
নগর এলাকায় বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও পানির ভূগর্ভস্থ স্তর রিচার্জ করার কার্যকর
পদ্ধতি নিচে বর্ণনা করা হলো । ছাদের গটার ও ডাউনস্পাউট ব্যবহার করে ছাদের উপর পড়া
বৃষ্টিকে সংগ্রহ করা হয়।রাস্তা, উঠোন বা ফুটপাতের মতো অপরিসর জায়গায়ও সংগ্রহ করার
কাজে লাগানো যায়। ছাদ, রাস্তা, পার্ক এবং ফুটপাত থেকে সংগৃহীত বৃষ্টির পানি
রিচার্জ পিট, শ্যাফট বা ট্রেঞ্চের মাধ্যমে মাটির গভীরে প্রবাহিত হয়। এতে
aquifer‑এ পানি ফিরে যায় এবং ভূ-গর্ভস্থ স্তর আবার পূর্ণ হতে পারে।
৬. জ্ঞান-ভিত্তিক কৃষি ও এগ্রোফরেস্ট্রি
মাটি সংরক্ষণের জন্য বহুপ্রজাতি (perennial) উদ্ভিদ ও Agroforestry ব্যবহারে
মাটির পানি ধরে রাখায় সহায়তা করে, জমির গঠন বজায় রাখে। গাছের কান্ড পানি শোষণ
করে, যা মাটিকে পুরুতর ও আর্দ্র রাখে ও পানির স্তর ধরে রাখে। Perennial উদ্ভিদের
গভীর ও বিস্তৃত শিকড় মাটির অভ্যন্তরে ঢুকে যায় ও মাটির আরও নিচু স্তর থেকে পানি
টেনে এনে শীর্ষ স্তরে রাখে। ফলে পানির নিষ্কাশন কমে যায় ও মাটি আরও আদ্র হয়ে উঠে।
গাছের পাতা, কান্ড-ডাল পরিপক্ক হয়ে মাটির জৈব পদার্থ বাড়িয়ে দেয় ফলে মাটি পানি
অনেকক্ষণ ধরে রাখতে সক্ষম হয়, এর ফলে শুষ্ক সময়েও মাটি আর্দ্র থাকে ।
৭.স্মার্ট ও IoT নির্ভর সেচ পদ্ধতি
সেচ নিরীক্ষা করে ড্রিপ সেচ বা স্প্রেঙ্কলার পদ্ধতির প্রয়োগ করলে জল ব্যবহারে
১০০% সাশ্রয়ী হওয়া যায়।এই পদ্ধতিতে জমির আদ্রতা ও প্রয়োজন অনুযায়ী পানি সরবরাহ
করা যায়।
৮. ম্যানেজড অ্যাকুিফার রিচার্জ (MAR)
ম্যানেজড অ্যাকুিফার রিচার্জ (MAR) হল একটি পরিকল্পিত পানি সংরক্ষণ পদ্ধতি যেখানে
অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি, নদী ও টিকিয়ে রাখা পানি ইত্যাদি নির্দিষ্ট স্থানে সংগ্রহ
করে ভূগর্ভস্থ জলাধারে ঢালা হয়। এতে ভূগর্ভস্থ জলস্তর পুনরুদ্ধার হয়, খরা ও লবণজল
প্রবেশ প্রতিরোধ হয়, এবং দীর্ঘমেয়াদে পানি নিরাপত্তা ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত
হয়।
৯. শিল্প ও শহরের পানি ব্যবস্থাপনা সংস্কার
শিল্প ও শহরের পানি ব্যবস্থাপনা সংস্কার হলো সরবরাহ, বৃষ্টির পানি, ও ব্যবহৃত
পানি (ওয়েস্টওয়াটার) একত্রে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার ও পরিশোধনের ব্যবস্থা। এতে
পানি পুনঃব্যবহার, দূষণ কমানো, বন্যা ও খরা প্রতিরোধসহ সামাজিক ও পরিবেশগত সুফল
নিশ্চিত হয়।
টেক্সটাইল শিল্পের জন্য WDF-এর পরিবর্তে রিসাইকেল ও পুনঃব্যবহার প্রযুক্তি
প্রয়োগ যেমন সমসত্ত্ব জলাধার সংস্কার , শিল্প দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও ওয়াসার
পাইনলাইনের পুনঃনির্মাণ জরুরী।
কার্যকর বাস্তবায়নের প্রস্তাবনা
১.নীতিগত ও প্রশাসনিক কাঠামো
জাতীয় এবং জেলা পর্যায়ে Groundwater Regulatory Authority প্রতিষ্ঠা করা ।
শিল্প, কৃষি ও গৃহস্থালি ব্যবহারের জন্য কোটাভিত্তিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
অ্যাসিড ম্যানেজমেন্ট ও পরিবেশ আইন প্রয়োগ কঠোর করা।
২.ক্ষমতা ও জনসচেতনতা
কৃষকদের মধ্য বিকল্প পদ্ধতির প্রশিক্ষণ (AWD, Agroforestry, কেজ
অ্যাকুয়াপোনিক্স)।নগরাঞ্চলে নাগরিকদের মধ্যে রেইনওয়াটার হার্ভেস্টিং বিষয়ে
সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।।
৩.গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ
উচ্চ রেজোলিউশনের জলের স্তর ও মান পর্যবেক্ষণ GroundHog-এর মতো মডেল
কাজে লাগানো। কৃষি ও শহরের পানির ব্যবস্থায় তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহন।
৪.ভৌগোলিক ও স্থানীয় সমন্বয়
উপকূলীয় অঞ্চলে লবণ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনা ও গভীর টিউবওয়েল ব্যবহার। নগর ও
গ্রামীণ নেতা, স্থানীয় প্রতিনিধি, এনজিওসহ সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
৫.অর্থায়ন ও উদ্ভাবন উৎসাহ
সরকারি ও আন্তর্জাতিক তহবিল (ADB, UNDP, JICA) থেকে সমর্থন আদায়ে সচেষ্ট থাকা।
PVT–Government পার্টনারশিপে অ্যাডজাস্টেবল সেচ ব্যবস্থা ও রিচার্জ স্টেশন
স্থাপনা প্রয়োজন।
উপসংহার
বাংলাদেশে ভূগর্ভস্থ পানির অতিব্যবহার ও দূষণ যেমন একাধিক প্রকৃতিগত,
স্বাস্থ্যগত ও সামাজিক ভয়াবহতা ডেকে এনেছে, তেমনি আমাদের সামনে রয়েছে
বৈজ্ঞানিক ও টেকসই বিকল্পের সম্ভাবনাও। জল-সেচের উন্নত ও সংগঠিত ব্যবস্থাপনা,
কৃষিতে উদ্ভাবনী পদ্ধতির প্রয়োগ ও শহরে আধুনিক প্রক্রিয়াসমূহ গ্রহণ করে আমরা
স্থায়ীভাবে জলের পরিমিত ব্যবহারে পরিবর্তনেআনতে পারি।
পরবর্তী দশকে পরিবর্তন আনতে হলে এখনই আমাদের সারা দেশে পরীক্ষা-প্রবর্তন,
জনসচেতনতা ও কঠোর নীতি বাস্তবায়ন শুরু করতে হবে। সে ক্ষেত্রে শুধু ভূমি নয়,
সমগ্র বাংলাদেশের ভবিষ্যত হবে নিরাপদ, টেকসই ও স্বাস্থ্যকর।
স্মার্ট ইনফো ডেস্কের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টের রিভিউ করা হয়। নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url